মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন জীববিজ্ঞানীর নেতৃত্বে ২০২৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তঃপ্রজনন পূর্বাঞ্চলীয় ম্যাসাসাগা র্যাটলস্নেকদের টিকে থাকার সম্ভাবনাকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করছে। গবেষকরা মনে করছেন, সাপের প্রাকৃতিক আবাসস্থল খণ্ডিত হয়ে যাওয়াই এই অন্তঃপ্রজননের প্রধান কারণ/Eric Hileman West Virginia University
ল্যান্সিং, ২২ আগস্ট : মিশিগানসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় পূর্বাঞ্চলীয় ম্যাসাসাউগা র্যাটলস্নেক এখন হুমকির মুখে। যথাযথ সুরক্ষা না পেলে এই প্রজাতি শিগগিরই বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মিশিগান ন্যাচারাল ফিচারস ইনভেন্টরির তথ্যমতে, সাপগুলো প্রকৃতিতে ভীতু; মানুষের মুখোমুখি হলে সাধারণত গাছপালার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক ম্যাসাসাউগা গড়ে দুই থেকে তিন ফুট লম্বা হয়। তাদের পিঠে থাকে স্বতন্ত্র স্যাডেল-আকৃতির দাগ, পাশে কালো দাগ এবং লেজের র্যাটলস—যা তাদের প্রধান পরিচয়চিহ্ন।
এই র্যাটলস্নেক সাধারণত জলাভূমি এলাকায় বসবাস করে, যেখানে উচ্চ জলস্তর এবং রৌদ্রোজ্জ্বল অঞ্চল থাকে। এভাবে তারা শরীর উষ্ণ রাখে। খাদ্যের মধ্যে থাকে মূলত ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ভোল ও ইঁদুর; মাঝে মাঝে পাখি ও ব্যাঙও খেয়ে থাকে। গ্রেট লেকস অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় এদের বিস্তার থাকলেও, মিশিগানে অন্য যেকোনো অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশের তুলনায় বেশি জনসংখ্যা রয়েছে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক সারা ফিটজপ্যাট্রিক বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় অন্তঃপ্রজননের উদ্বেগজনক প্রমাণ মিলেছে। আশঙ্কার বিষয় হলো, এটি এমনকি সুরক্ষিত জলাভূমি অঞ্চলের স্থিতিশীল জনসংখ্যার মধ্যেও ঘটছে।
তিনি জানান, “আমরা মিশিগানের দুটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যেই অন্তঃপ্রজননের নেতিবাচক প্রভাব পেয়েছি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ছোট ও বিচ্ছিন্ন জনসংখ্যাগুলোতে সমস্যা আরও ভয়াবহ হতে পারে।”
Source & Photo: http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan